
সুন্দরবনের পরিচিতি
সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন, বিশ্বের বৃহত্তম বনগুলির মধ্যে একটি (১৪০,০০০ হেক্টর), বঙ্গোপসাগরের তীরে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা নদীর ব-দ্বীপে অবস্থিত। "ম্যানগ্রোভ বনটি বাংলাদেশে ৬০% এবং পশ্চিমবঙ্গে ৪০% অংশ জুড়ে বিস্তৃত।" - তথ্যসূত্র বিশ্বব্যাংক https://blogs.worldbank.org/en/endpovertyinsouthasia/sundarban-unique-wetland-preserve এই স্থানটি জোয়ারের জলপথ, কাদামাটি এবং লবণাক্ত সহনশীল বনটি ছোট ছোট দ্বীপে ঘিরে আছে এবং এই অঞ্চলটি তার বিস্তৃত প্রাণীজগতের জন্য পরিচিত, যার মধ্যে ২৬০টি প্রজাতি পাখি, মোহনার কুমির এবং পাইথনের মতো অন্যান্য বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগার জন্য পরিচিত।
দৃশ্যশিল্পের বয়ান
(রিসার্চ প্রক্রিয়াটি চলমান এবং হাইপোথিসিসগুলো জিওগ্রাফিক এবং এথনোগ্রাফিক পরিপ্রেক্ষিত থেকে নানা প্রসঙ্গ বিবেচনার অবকাশ রাখে)
সুন্দরবনের প্রকৃতি জনজীবনের মতো নিরাপত্তাহীন, মানব সৃষ্ট ক্রিয়াকলাপ, সুন্দরবনের কাছাকাছি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো আত্ম বিধ্বংসী উদ্যোগ, তার ফলে একটিভ এবং প্যাসিভ ক্ষতি, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র নিয়ে বন বিভাগের নিষ্ক্রিয় পরিসংখ্যান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমসাময়িক ক্ষতি মোকাবেলায় কার্যকরী উদ্যোগের অভাব, অপরিকল্পিত ট্যুরিজম, এবং সুন্দরবনকে ঘিরে বেঁচে থাকা জীব এবং মানুষের জীবনের প্রতি অসংবেদনশীল আচরণের মাদ্ধমে এই অঞ্চলের সৃষ্ট ক্ষতি নিয়ে একটি অন্টোলজি এই প্রকল্প। কিছু ক্রিটিক্যাল পরিপ্রেক্ষিতকে আবারো আলোচনায় আনার এবং জনজীবনের সাথে বনটির সম্পৃক্তারটা, ইতিহাস, সংস্কৃতি বিষয়ে সজাগ হয়ে কি করে সমসাময়িক প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করার জন্য, বাস্তুসংস্থান টিকিয়ে রাখার জন্য সামাজিক কাঠামোকে প্রশ্ন করার লক্ষে নানা অন্টোলজিকে পুনর্পাঠ করা এবং মানবকেন্দ্রিক মূল্যবোধগুলোকে প্রশ্ন করার এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
জন জীবনের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে বাংলাদেশর বর্ডার অঞ্চলে জন জীবন থেকে পাওয়া এথনোগ্রাফিক রিসার্চ, স্থানীয় ম্যাপ (যা এলাকাভিত্তিক ভাবে আলাদা হতে পারে), স্থানীয়: আলাপচারিতাজিওগ্রাফি, প্রকৃতি বিদ্যা, সংলাপ যা ভিজ্যুয়াল, আখ্যান, আঞ্চলিক প্রবাদ অন্নেষণের মাদ্ধমে এই অঞ্চলকে সমসাময়িক অবস্থান বুঝবার কৌতূহল থেকে এই প্রকল্পের শুরু।
নজরদারি, জল সীমানা, মানব সৃষ্ট বিপর্যয়কে নির্দেশ করে চলমান প্রকল্পটি, স্ক্যান ইমেজ, মুভিং ইমেজ, ফোটোগ্রাপি, স্থানীয় শিল্পীর কার্টোগ্রাফি/ ম্যাপ (যা স্থানীয় চিত্র তুলে ধরে কাল্পনিক একটি রেখাচিত্র নির্মাণ করে, এই অঞ্চলের পূর্ববর্তী রূপ কে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেয়।
চলমান প্রকল্পটি অডিও, ভিজুয়াল এন্ড অন্টোলজির সমন্বয়ে একটি ইনস্টলেশন।















































